Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

আদার রোগ ও তার প্রতিকার

আদা বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব প্রয়োজনীয় মসলা ফসল হিসেবে পরিচিত। উত্তরবঙ্গে এ মসলা ফসলটির চাষের বিস্তৃতি সবচেয়ে বেশি। অল্প ছায়াযুক্ত জায়গায় আদা ভালো হয়। পরিমাণে কম লাগলেও এটি ছাড়া তরিতরকারি ইত্যাদি কল্পনা করা যায় না। এতে অনেক ঔষধিগুণ বিদ্যমান। কিন্তু রোগবালাই আদা উৎপাদনের একটি প্রধান অন্তরায়। আদার রাইজোম রট, পাতা ঝলসানো, পাতায় দাগ, ব্যাক্টিরিয়াজনিত কন্দ পচা ও ঢলে পড়া ইত্যাদি রোগ দেখা যায়। তবে রাইজোম রট আদার বেশি ক্ষতি করে। এ রোগগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে ফলন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। তাই আদার কয়েকটি মারাত্মক রোগের লক্ষণ, কারণ ও প্রতিকার ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১. রোগের নাম : কন্দ পচা
রোগের কারণ : পিথিয়াম এফানিডারমেটাম নামক ছত্রাক এবং ব্যাক্টিরিয়া ও রাইজোম ফ্লাইও আদা পচার সাথে জড়িত।
রোগের বিস্তার : আক্রান্ত রাইজোম, মাটি, পানি ও ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রোগের বিস্তার ঘটে।
রোগের লক্ষণ
১.     গাছের গোড়ায় কন্দতে প্রথমে পানি ভেজা দাগ দেখা যায়।
২.    পরে ওই স্থানে পরম পচন দেখা যায়।
৩.    ক্রমান্বয়ে কন্দের বেশি বেশি অংশ পচে যায়।
৪.    আক্রান্ত গাছের শিকড়ও পচতে শুরু করে এবং গাছ টান দিলে সহজেই উঠে আসে।
৫.     আক্রান্ত কন্দ থেকে এক ধরনের গন্ধ বের হয়। এ গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে রাইজোম ফ্লাই নামক পোকা আদায় আক্রমণ করে।
৬.    গাছের ওপরের অংশে পাতা হলুদ হয়ে যায়। পাতায় কোনো দাগ থাকে না।
৭.    পরে গাছ ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে মারা যায়।
৮.    রাইজোম পচে যাওয়ার ফলে ফলন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
রোগের প্রতিকার
১.     আক্রান্ত গাছ মাটিসহ উঠিয়ে গর্ত করে পুঁতে ফেলতে হবে।
২.     আক্রান্ত গাছ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৩.     রোগবিহীন কন্দ সংগ্রহ করে বীজ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
৪.     আক্রান্ত জমিতে শস্য পর্যায় অনুসরণ করতে হবে।
৫.     মাঠে যথাযথ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৬.     স্টেবল বিচিং পাউডার প্রতি হেক্টরে ২০ কেজি হারে শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
৭.     রিডোমিল গোল্ড বা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ওই দ্রবণের মধ্যে বীজ আদা আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে শোধন করে উঠিয়ে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে জমিতে রোপণ করতে হবে।
৮.     অর্ধকাঁচা মুরগির বিষ্ঠা (৩-৫ টন/হে.) আদা বপনের ২১ দিন আগে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।
৯.     রোগ দেখা দেয়া মাত্রই রিডোমিল গোল্ড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে (০.২%) অথবা সিক্যুয়র প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর গাছের গোড়ার মাটিতে স্প্রে করতে হবে।
২. রোগের নাম : আদা হলুদ হওয়া
রোগের কারণ : ফিউজারিয়াম অক্সিমপরাসম এফএসপি. জিনজিবেরি এবং ফিউজারিয়াম সোলানি নামক ছত্রাক।
রোগের বিস্তার : আক্রান্ত রাইজোম, মাটি, পানি ও ব্যবহৃত কৃষি যন্ত্রপাতির মাধ্যমে রোগের বিস্তার ঘটে।
রোগের লক্ষণ  
১.     আদার নিচের পাতার কিনারায় হলুদাভ হয়ে সম্পূর্ণ পাতায় ছড়িয়ে পড়ে।
২.     আক্রান্ত গাছ উইল্ট হয়ে শুকিয়ে যায় কিন্তু গাছ হেলে পড়ে না।
৩.     আদার কন্দে ভাস্কুলার সিস্টেমে ক্রিমি ডিসক্লারেশন দেখা যায় এবং কন্দ পচতে থাকে।
রোগের প্রতিকার
১.     আক্রান্ত গাছ রাইজোমসহ সম্পূর্ণরূপে তুলে ধ্বংস করতে হবে
২.     বীজ আদার জন্য শুধু সুস্থ ও নিরোগ গাছ নির্বাচন।
৩.     আক্রান্ত জমিতে আদা চাষ না করে অন্য ফসলের চাষ করা।
৪.     জমি স্যাঁতসেঁতে ভাব রাখা যাবে না।
৫.     প্রোভেক্স বা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে ওই দ্রবণের মধ্যে বীজ আদা আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে শোধন করে উঠিয়ে ছায়ায় শুকিয়ে নিয়ে জমিতে রোপণ করতে হবে।
৬.     আদা লাগানোর ঠিক আগে মুহূর্তে জমিতে স্টেবল ব্লিচিং পাউডার হেক্টরপ্রতি ২০ কেজি ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
৭.     রোগ দেখা দেয়া মাত্রই ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০ দিন পর পর গাছের গোড়ার মাটিতে স্প্রে করতে হবে।
৩. রোগের নাম : পাতা ঝলসানো
রোগের কারণ : কোলেটোট্রিকাম জিঞ্জিবারিস নামক ছত্রাক।
রোগের বিস্তার : আক্রান্ত পাতা, বায়ু ইত্যদি।
রোগের লক্ষণ
১.     প্রথমে পাতার ওপর ছোট, গোল, হালকা হলুদ বর্ণের দাগ পড়ে।
২.     পরবর্তীতে অনেকগুলো দাগ একত্রিত হয়ে পাতার সব অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং পাতা ঝলসে যায়।
৩.     ঝলসানো পাতার ওপর বিন্দু বিন্দু কালো দাগ দেখা যায় যেগুলো ছত্রাকের অ্যাসারভুলাস।
৪.     ডগা আক্রান্ত হয়ে পাতার মাঝখানটা ভেঙে ঝুলে পড়তে দেখা যায়।
৫.     ফলে গাছের ও রাইজোমের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে পাতা শুকিয়ে মারা যায়।
রোগের প্রতিকার
১.     জমির ময়লা আবর্জনা পুড়ে ফেলতে হবে।
২.     রোগ প্রতিরোধী জাত নির্বাচন করতে হবে।
৩.     রোগমুক্ত জমি থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
৪.     শস্য পর্যায় অনুসরণ করতে হবে।
৫.     আদার কন্দ সংরক্ষণের আগে প্রতি লিটার পানির সঙ্গে ১ গ্রাম ব্যভিস্টিন মিশিয়ে ৬০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে এবং ৪৮ ঘণ্টা পর সংরক্ষণ করতে হবে। আদার কন্দ লাগানের আগে ও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
৬.     রোগের আক্রমণ দেখা দিলে টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে পাতার উভয় পৃষ্ঠায়  স্প্রে করতে হবে।
উপরোক্ত রোগ ছাড়াও আদায়
৪. ব্যাক্টিরিয়াজনিত কন্দ পচা-আরউইনিয়া ক্যারোটোভোরা
(Erwinia carotovora) দ্বারা,
৫. পাতায় দাগ-ফাইলোস্টিক্টা জিঞ্জিবারি
(Phyllosticta zingiberi) দ্বারা এবং
৬. ঢলে পড়া-রালস্টোনিয়া সোলানেসিয়ারাম
(Ralstonia solanacearum) দ্বারা হয়ে থাকে।

 

ড. কে এম খালেকুজ্জামান*
* ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব), মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, শিবগঞ্জ, বগুড়া। মোবাইল : ০১৯১১-৭৬২৯৭৮, ইমেইল :
zaman.path@gmail.com

 


টমেটো জুস তৈরি পুষ্টিমান ও ব্যবহার
(১৮ পৃষ্ঠার পর)
পুষ্টিমান
১. টমেটো জুস বিটা ক্যারোটিন (১০৯৪ আইইউ/কাপ) ও খনিজসমৃদ্ধ পানীয়। এতে উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম (৫৫৮ মি. গ্রাম/কাপ) থাকে। যা উচ্চরক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। বিটা ক্যারোটিন চোখের দৃষ্টি বাড়াতে সহায়তা করে।
২. টমেটো জুস উচ্চমাত্রার লাইকোপেনসমৃদ্ধ। লাইকোপেন তাপে স্থায়ী ও সহজলভ্যতা বাড়ে। তাই প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় তাপের ফলে লাইকোপেনের পরিমাণ ২-৩ গুণ বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা যায়, টাটকা ১ কাপ টমেটোতে ৫ মি. গ্রাম লাইকোপেন থাকে অথচ ১ কাপ প্রক্রিয়াজাত টমেটো জুসে ২১ মিলি. গ্রাম লাইকোপেন থাকে। এ লাইকোপেন একটি পিগমেন্ট এবং শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট। লাইকোপেন দেহকে ক্যান্সার ও হৃদরোগ হতে রক্ষা করে। উচ্চমাত্রা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হওয়ায় দেহে উৎপাদিত ফ্রি র‌্যাডিক্যাল নষ্ট করে এবং দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতি হতে রক্ষা করে।
৩. ব্রিটিশ নিউট্রিশন জার্নাল মোতাবেক প্রতিদিন ১০০ মিলি টমেটো জুস পান করলে ৫-৯% কোলস্টেরল কমে এবং রক্তের জমাট বাধার প্রবণতা কমায়।
৪. এ ছাড়াও টমেটো জুসে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ফলিক এসিড বিদ্যমান, যা সহজেই শরীর কর্তৃক গৃহীত হয়ে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পাদন করে এবং দ্রুত দেহের ক্লান্তি, ট্রেস ও দুর্বলতা দূর করে।
৫. বোতল বা টিন জাতীয় পাত্রে সংরক্ষণ করে দীর্ঘ সময় পান করা যায় এবং শক্তি ও রুচিবর্ধক পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। য়

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon